অ্যাপল ১১ ফেব্রুয়ারি নতুন iPhone SE এবং PowerBeats Pro হেডফোন উন্মোচন করতে পারে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ । তবে এটি কোনো বড় ইভেন্টের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে না, কারণ অ্যাপল এখনো কোনো সরাসরি বা ভার্চুয়াল ইভেন্টের আমন্ত্রণ পাঠায়নি।নতুন iPhone SE বাজারে এলে এটি হবে অ্যাপলের বাজেট স্মার্টফোন লাইনআপের চতুর্থ সংস্করণ। ২০২২ সালে সর্বশেষ iPhone SE উন্মোচন করা হয়েছিল, যা মূলত iPhone 13 সিরিজের অংশ ছিল। সেই মডেলটি $৪২৯ মূল্যে বাজারে আসে এবং দেখতে অনেকটা iPhone 8-এর মতোই ছিল, যেখানে Touch ID ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার ছিল। তবে এই ফোনটি ইউরোপীয় ইউনিয়নে আর বিক্রি হচ্ছে না, কারণ এতে Lightning port ব্যবহার করা হয়েছিল, যা এখন ইউরোপীয় চার্জিং নীতিমালার সঙ্গে মিলছে না।এবারের নতুন iPhone SE-তে USB-C পোর্ট থাকতে পারে, কারণ অ্যাপলের বর্তমান লাইনআপে পুরনো চার্জিং পোর্ট বাদ দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অনেকে ধারণা করছেন, এই ফোনটি দেখতে অনেকটা iPhone 14-এর মতো হতে পারে, কারণ আগের SE মডেলটি বাজারে আসার কয়েক মাস পর iPhone 14 উন্মোচিত হয়েছিল। যদি সেটাই হয়, তাহলে এটি হবে প্রথম SE মডেল যেখানে Face ID যুক্ত করা হবে এবং Touch ID ফিচারটি পুরোপুরি বাদ যাবে।এই নতুন iPhone SE-তে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ আপডেট আসতে পারে। যেমন, এটি Apple Intelligence-এর সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম হতে পারে, যা অ্যাপলের নিজস্ব এআই প্রযুক্তি। এটি iPhone ১৬ সিরিজ এবং iPhone ১৫ Pro-এর সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে। এছাড়াও, ধারণা করা হচ্ছে যে, এটি হতে পারে প্রথম iPhone, যেখানে অ্যাপল সম্পূর্ণ নিজস্ব ডিজাইনের ইন-হাউস মডেম ব্যবহার করবে, যা কোয়ালকমের মতো তৃতীয় পক্ষের চিপ নির্মাতাদের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেবে।নতুন iPhone SE মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বিশেষভাবে চীন ও ভারতের মতো বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয় হতে পারে। এই দুটি দেশ বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন বাজার হিসেবে পরিচিত। তবে সাম্প্রতিক কিছু ত্রৈমাসিক রিপোর্টে দেখা গেছে, চীনে অ্যাপলের বিক্রি ১১% কমে গেছে। এর কারণ দেশীয় নির্মাতা Huawei-এর মতো ব্র্যান্ডগুলোর শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন নতুন প্রতিযোগিতা তৈরি হওয়া। এছাড়াও, Apple Intelligence বর্তমানে চীনে পাওয়া যাচ্ছে না, যা দেশটিতে অ্যাপলের বিক্রিতে প্রভাব ফেলছে।নতুন iPhone SE-এর পাশাপাশি, অ্যাপল একই সময়ে powerbeats pro 2 হেডফোনও উন্মোচন করতে পারে। ২০১৯ সালে আসা প্রথম powerbeats pro-এর ছয় বছর পর এর নতুন সংস্করণ বাজারে আসতে চলেছে। এই নতুন ব্লুটুথ ইয়ারবাডে বিশেষ কিছু নতুন ফিচার থাকতে পারে, যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলো হার্ট রেট ট্র্যাকিং। এটি অ্যাপলের ওয়্যারেবল ডিভাইসগুলোর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ফিচার আরও উন্নত করার একটি উদ্যোগ হতে পারে, যা বর্তমানে Apple Watch-এর মাধ্যমে সীমাবদ্ধ রয়েছে।এ বছরের মধ্যে অ্যাপল আরও কিছু নতুন ডিভাইস বাজারে আনতে পারে। যেমন, MacBook Air ও iPad Air-এ নতুন M4 চিপ যুক্ত করা হতে পারে। এছাড়াও, অ্যাপলের স্মার্ট হোম লাইনআপে একটি নতুন হোম হাব যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে ডিসপ্লে থাকতে পারে এবং এটি অ্যাপলের ভবিষ্যতের রোবটিক্স প্রযুক্তির প্রথম ধাপ হতে পারে। তবে এই পণ্যগুলোর কোনোটি ১১ ফেব্রুয়ারির ইভেন্টে আসছে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।অ্যাপল এখনও এই লঞ্চ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে এটি নিশ্চিত যে, iPhone SE ও PowerBeats Pro 2 নিয়ে প্রযুক্তি প্রেমীদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
