একটি ভালো হোম সিকিউরিটি ক্যামেরা খুঁজে পাওয়ার সাথে সাথে যদি দেখা যায় এটি একটি মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি ছাড়াই আসে, তবে সত্যিই এটি হতাশাজনক হতে পারে। যদিও বিভিন্ন ক্যামেরা সাবস্ক্রিপশন দিয়ে আরও কিছু অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করে, তবে আপনি যদি টাকা সাশ্রয় করতে চান, তাহলে আপনি এ ধরনের ক্যামেরাগুলোকে অযথা খরচ মনে করতে পারেন। আপনি নিশ্চয়ই এমন একটি ক্যামেরা খুঁজছেন, যা কোনো মাসিক সাবস্ক্রিপশন ছাড়াই চমৎকার সেবা প্রদান করতে পারে।এই উদ্দেশ্যেই আমরা ২০০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সিকিউরিটি ক্যামেরা পরীক্ষা করেছি এবং সেরা ক্যামেরাগুলো বেছে নিয়েছি, যেগুলো সাবস্ক্রিপশন ছাড়াই কাজ করে। আমাদের তালিকায় রয়েছে কিছু ক্যামেরা যা আপনাকে নিরাপত্তা এবং প্রাইভেসি নিশ্চিত করবে, তাছাড়া আপনার পকেটেও ক্ষতি করবে না।

Eufy Indoor Cam S350 আমাদের তালিকার শীর্ষে স্থান পেয়েছে। এটি একটি 4K ডুয়াল ক্যামেরা যা লোকাল স্টোরেজ প্রদান করে এবং পোষা প্রাণী শনাক্তকরণ এবং ৩২ ফুট পর্যন্ত নাইট ভিশন সুবিধা সহ আসে। এতে প্যান এবং টিল্ট ফিচারও রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি ক্যামেরাকে বিভিন্ন দিক থেকে ঘোরাতে পারেন। এটি এমন একটি ক্যামেরা যা কোনও সাবস্ক্রিপশন ফি ছাড়াই কাজ করতে সক্ষম এবং আপনাকে শুধুমাত্র মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহার করে ভিডিও সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া, ক্যামেরাটি অ্যামাজন অ্যালেক্সা এবং গুগল হোম/অ্যাসিস্ট্যান্টের সাথে কাজ করে, যা অত্যন্ত সুবিধাজনক।Eufy-এর ক্যামেরাটি ছোট আকারের হওয়ায় খুব সহজেই এটি সীমানার মধ্যে ফিট করতে পারে, এবং এর উন্নত প্রযুক্তির কারণে এটি পোষা প্রাণী এবং মানুষ শনাক্ত করতে সক্ষম এবং তাদের অনুসরণ করতে পারে। এই ক্যামেরার সর্বোচ্চ সুবিধা হলো এতে কোনো সাবস্ক্রিপশন ফি নেই, যা এটি খুবই আকর্ষণীয় করে তোলে। তবে এর একটি খারাপ দিক হলো Eufy অ্যাপের ইন্টারফেস কিছুটা জটিল হতে পারে, যার জন্য কিছু সময় নিয়ে অ্যাপ ব্যবহার শিখতে হবে।

Lorex একটি বিশেষ ক্যামেরা ব্র্যান্ড, যা প্রাইভেসি এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে বিশেষ মনোযোগ দেয়। Lorex ক্যামেরা আসে একটি ১৬ জিবি মাইক্রোএসডি কার্ড সহ, এবং এখানে কোনো সাবস্ক্রিপশন প্রয়োজন হয় না। Lorex-এর Fusion সিস্টেম ব্যবহার করে আপনি আরও বড় স্টোরেজ এবং অফলাইন মোড সুবিধা পেতে পারেন, তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়। এই ক্যামেরাটি অ্যামাজন অ্যালেক্সা এবং গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি ব্যক্তিগত শনাক্তকরণ এবং দুই-ওয়ে অডিওর মতো ফিচারও সরবরাহ করে, যা বাড়ির সুরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।

Reolink Argus Track হলো একটি বিশেষ আউটডোর ক্যামেরা, যা 4K রেজোলিউশনে ভিডিও ধারণ করতে পারে এবং একটি সোলার প্যানেল দিয়ে ক্যামেরার ব্যাটারি চার্জ রক্ষা করতে পারে। এটি প্যান এবং টিল্ট সুবিধা সহ আসে এবং মুভমেন্ট ট্র্যাকিং, কালার নাইট ভিশন, এবং মাইক্রোএসডি কার্ড স্টোরেজ সাপোর্ট করে। ক্যামেরাটি কোনও সাবস্ক্রিপশন ছাড়াই পুরোপুরি কার্যকর, যা এটি একটি নিখুঁত অপশন করে তোলে যারা কোনও ফি ছাড়াই একটি শক্তিশালী আউটডোর ক্যামেরা চান।

TP-Link Tapo C210 হল একটি বহুমুখী ক্যামেরা যা ইন্ডোর ও আউটডোর উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি 2K রেজোলিউশনে ভিডিও ধারণ করে এবং একটি মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে ভিডিও সংরক্ষণ করতে পারে। এটি অ্যামাজন অ্যালেক্সা এবং গুগল হোম/অ্যাসিস্ট্যান্টের সাথে কাজ করে এবং এর ম্যাগনেটিক বেস এর স্থাপনকে সহজ করে তোলে। এছাড়া, এতে রয়েছে কালার নাইট ভিশন এবং একটি কাস্টমাইজযোগ্য সাইরেন/লাইট অ্যালার্ম সিস্টেম।Lorex Floodlight Camera আউটডোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় একটি উচ্চমানের পছন্দ হতে পারে। এটি 2K রেজোলিউশন, নাইট ভিশন, দুই-ওয়ে অডিও এবং ৩২ জিবি মাইক্রোএসডি কার্ড সহ আসে। এটি দুটি শক্তিশালী LED ফ্লাডলাইট নিয়ে আসে, যার মাধ্যমে আপনি উজ্জ্বলতা এবং রঙের তীব্রতা কাস্টমাইজ করতে পারবেন। Lorex ফ্লাডলাইট ক্যামেরার অন্যতম বিশেষত্ব হলো এর কাস্টমাইজেবিলিটি, যা বেশিরভাগ ক্যামেরার মধ্যে দেখা যায় না।এই ক্যামেরাগুলোতে সাবস্ক্রিপশন ছাড়াই সেরা পারফরম্যান্স এবং প্রাইভেসি সুবিধা প্রদান করা হয়, যা এগুলিকে আরও জনপ্রিয় করে তুলছে। বর্তমানে ক্যামেরা মার্কেটে অনেক কোম্পানি সাবস্ক্রিপশন ফি নিয়ে আসে, তবে এই ক্যামেরাগুলো সাবস্ক্রিপশন ছাড়া দারুণ সব ফিচার সরবরাহ করতে সক্ষম। এটি ব্যবহারকারীদের কাছে খরচ সাশ্রয়ী এবং কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।