
ইনসাইড ইভস-এর তথ্য অনুযায়ী, টেসলা এখন তাদের Cybertruck মালিকদের গাড়ি ট্রেড-ইন করার অনুমতি দিচ্ছে। অর্থাৎ, যারা আগে এই গাড়ি কিনেছেন, তারা এখন চাইলে টেসলার কাছেই তা ফেরত দিয়ে নতুন গাড়ি নিতে পারবেন। তবে এই প্রক্রিয়ায় মালিকদের বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। CarGurus-এর সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, কিছু সাইবারট্রাকের দাম প্রায় ৪৫% পর্যন্ত কমে গেছে। অন্যদিকে, বিজনেস ইনসাইডার গত সপ্তাহে দুইজন সাইবারট্রাক মালিকের সঙ্গে কথা বলেছে যারা টেসলার কাছ থেকে ট্রেড-ইন কোটেশন পেয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ২০২৪ সালের একটি AWD মডেল ১,০০,০০০ ডলার দিয়ে কিনেছিলেন এবং ১৯,৬২৩ মাইল চালিয়েছিলেন। তিনি টেসলার কাছ থেকে ট্রেড-ইন হিসেবে পেয়েছেন ৬৩,১০০ ডলারের অফার, যার মানে ৩৭% দাম কমে গেছে। আরেকজন গত সেপ্টেম্বর মাসে ১,২৭,০০০ ডলারে একটি Cyberbeast মডেল কিনেছিলেন। টেসলা তাকে অফার করেছে ৭৮,২০০ ডলার, যা কিনা মাত্র ৮ মাসেই প্রায় ৩৮% মূল্য হ্রাস। শুরুতে Tesla সাইবারট্রাক পুনরায় বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। এই নীতি সাধারণত বেশি চাহিদাসম্পন্ন গাড়ি বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও দাম বাড়ানো ঠেকাতে নেওয়া হয়। তবে টেসলার ক্ষেত্রে এর আরেকটি উদ্দেশ্য হতে পারে, গাড়ি নিয়ে অসন্তুষ্ট মালিকদের তাড়াতাড়ি বিক্রি ঠেকানো। কারণ, অনেকেই ইলন মাস্কের ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা বা গাড়ির গুণগত মান নিয়ে হতাশ, যেখানে দ্রুতগামী অ্যাক্সেল বা খসে পড়া ট্রিমের মতো সমস্যাও দেখা গেছে। এখানে একটা বিষয় মনে রাখা দরকার—ট্রেড-ইন ভ্যালু সাধারণত ব্যক্তিগতভাবে গাড়ি বিক্রির চেয়ে কম হয়। আর ইভি (ইলেকট্রিক ভেহিকল) গুলো সাধারণত দ্রুত মূল্য হারায়। Wired-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু ব্র্যান্ডের ইভি প্রথম বছরেই প্রায় ৫০% পর্যন্ত দাম হারায়। যদি আপনি চান, আমি এটা সামাজিক পোস্টের মতো করে সাজিয়ে দিতে পারি।