তবে রেমিট্যান্স বাড়লেও দেশের মোট রিজার্ভ কমেছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রিজার্ভ ১৯.৯৪ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।
প্রবাসীরা জানুয়ারিতে দেশে গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ২.১০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় এ অর্থ ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স হিসেবে ১.৯৮ বিলিয়ন ডলার পেয়েছিল।
গত বছরের জুনে দেশে কোনো একক মাসে সর্বোচ্চ ২.১৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসে। এ বৃদ্ধির একটি কারণ ছিল কিছু ব্যাংকের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডলার সংগ্রহ করা।
বর্তমানে রেমিট্যান্সের জন্য মার্কিন ডলারের নির্ধারিত বিনিময় হার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। তবে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, ব্যাংকগুলো ১২২ টাকা পর্যন্ত হারে রেমিট্যান্স ডলার কিনছে।
ব্যাংক সূত্রগুলো আরও বলছে, অনেক ব্যাংকই ডলারের ঘাটতিতে ভুগছে, তাই এগুলো প্রবাসীদের কাছ থেকে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে আগ্রহী।
তবে রেমিট্যান্স বাড়লেও দেশের মোট রিজার্ভ কমেছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রিজার্ভ ১৯.৯৪ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।
আইএমএফ নির্দেশিত বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভের এই হিসেব করা হয়েছে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে গ্রস রিজার্ভ ২০.০২ বিলিয়ন ডলার থেকে ৮৩ মিলিয়ন ডলার কমেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মিত ডলার বিক্রির কারণে ক্রমাগত রিজার্ভ কমছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা।