
Veo 2 ইউটিউব শোর্সে যুক্ত হওয়া একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, যা এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এর সাহায্যে ভিডিও তৈরি করার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ এবং উন্নত করেছে। এর মাধ্যমে, ইউটিউব শোর্সের ক্রিয়েটররা শুধুমাত্র ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন নয়, বরং সম্পূর্ণ ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম হবেন। এটি ইউটিউবের Dream Screen ফিচারকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। এর পূর্বে, Dream Screen ব্যবহারকারীরা শুধু টেক্সট প্রম্পটের মাধ্যমে ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করতে পারতেন, কিন্তু Veo 2 এর মাধ্যমে, তারা ভিডিওর সমস্ত উপাদান—যেমন দৃশ্য, চরিত্র, পরিবেশ—সবকিছু তৈরি করতে পারবেন।Veo 2এর সাথে যুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এর উন্নত সক্ষমতা। এটি বাস্তব পৃথিবীর পদার্থবিজ্ঞান এবং মানুষের গতিবিধি আরও নিখুঁতভাবে বোঝে, যার ফলে এটি যে ভিডিও তৈরি করবে তা হবে অনেক বেশি বাস্তবসম্মত। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন ক্রিয়েটর একটি অ্যাকশন দৃশ্য তৈরি করতে চান, তবে Veo 2 তাদের সাহায্য করবে একদম সঠিকভাবে শারীরিক গতিবিধি, বাস্তবসম্মত আলোর প্রভাব এবং পরিবেশকে প্রদর্শন করতে। ক্রিয়েটররা এর মাধ্যমে দৃশ্যের ভিন্ন ভিন্ন শৈলী, সিনেমাটিক এফেক্ট বা ভিন্ন ধরনের ক্যামেরা লেন্স ব্যবহার করতে পারবেন, যা তাদের ভিডিওকে আরও সৃজনশীল ও আকর্ষণীয় করে তুলবে।এটি ক্রিয়েটরদের জন্য এক ধরনের নতুনউদ্ভাবন হিসেবে এসেছে, যেহেতু তারা আর দীর্ঘ সময় ধরে ভিডিও শুট করতে বা উচ্চ মানের উপকরণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবেন না। তারা সরাসরি Veo 2 এর মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় দৃশ্য তৈরি করতে পারবেন, যা তাদের সৃজনশীল কাজকে অনেক সহজ করবে। যেমন ধরুন, তারা যদি একটি মিউজিক ভিডিও তৈরি করতে চান, তবে Veo 2 তাদের জন্য সুরেলা দৃশ্য এবং সঠিক আলোর প্রভাব তৈরি করে দিতে পারে, যা আগে কেবলমাত্র উচ্চমানের ক্যামেরা এবং বিশেষ দক্ষতার মাধ্যমে সম্ভব ছিল।এছাড়া, ভিডিওগুলোর সঠিকতা নিশ্চিত করতে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি কনটেন্টের সত্যতা প্রমাণ করতে DeepMind SynthID টুল ব্যবহার করা হবে। এই টুলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলির ওয়াটারমার্ক করবে, যাতে দর্শকরা বুঝতে পারে যে ভিডিওটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি হয়েছে। এর মাধ্যমে ইউটিউব দর্শকদের জন্য আরও পরিষ্কার একটি ধারণা দেবে যে তারা যা দেখছেন তা এআই দ্বারা নির্মিত।যেহেতু এই ধরনের ভিডিও তৈরি হওয়া সম্ভবত বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে, ইউটিউব সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং ভিডিওগুলোতে এআইদ্বারাতৈরিভিডিও লেবেল যোগ করবে, যা নির্দেশ করবে যে ভিডিওটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে। তবে, এই চিহ্নিতকরণ কেবল বিভ্রান্তি কিছুটা কমাতে পারে, কিন্তু পুরোপুরি রোধ করতে পারবে না।এখন পর্যন্ত Veo 2 ইউটিউব শোর্সে ইউএস, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, এবংনিউজিল্যান্ড—এই দেশগুলোর জন্য উপলব্ধ হবে। তবে, ইউটিউব ভবিষ্যতে এই ফিচারটি আরও অনেক দেশে সম্প্রসারিত করবে, যাতে বিশ্বজুড়ে আরও বেশি ক্রিয়েটর তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারেন। Veo 2 এর মাধ্যমে ইউটিউব নতুন ধরনের কনটেন্টের সৃষ্টি করবে, এবং এটি প্ল্যাটফর্মটির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট হিসেবে দেখা হচ্ছে।